দ্রুত ঘরবাড়ী নির্মাণের ফলে জলাশয়গুলো ভরাট হওয়ায় অগ্নি নির্বাপণের ক্ষেত্রে পানির প্রকট সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে যাতায়াতের রাস্তাঘাট সংকীর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। পর্যাপ্ত গাড়ী/পাম্প,সাজ সরঞ্জাম ও জনবল সংকটের কারণে অগ্নিকান্ড ও দূর্ঘটনা মোকাবেলায় কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। নৌ দূর্ঘটনা মোকাবেলায় ডুবুরী সংকটের কারণে জনসাধারণকে সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। অত্র বিভাগের কার্য্যক্রমের চিত্র প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় প্রচারের অভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস সম্পর্কে জনগণ সুস্পষ্ট ধারণা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া অগ্নি দূর্ঘটনার সম্পর্কে জনসচেতনতার অভাবে অগ্নি নিরাপত্তামূলক আইন ও বিধি বিধান পালনে অনিহা যে কারণে বিভাগের কার্য্যক্রম পরিচালনায় অত্যমত্ম ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়ে দাড়িয়েছে।
উপরে বর্ণিত সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ সমাধান করা হলে অগ্নিকান্ড, উদ্ধার ও অন্যান্য অপারেশনাল কাজে গতিশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে। জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অগ্নি নিবাপণ ও প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু বাগেরহাট জেলার প্রশিক্ষনার্থীদের থাকা-খাওয়া ও ক্লাস রম্নম পর্যাপ্ত না থাকায় প্রশিক্ষণ কার্য্যক্রম সুষ্ঠভাবে করা যাচ্ছে না। যে কারণে বাগেরহাট জেলা দপ্তরে একটি উন্নতমানের ট্রেনিং সেন্টার করাসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সামগ্রী স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জরাজীর্ন/ সংকীর্ণ ভবনগুলো ভেঙ্গে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্কিকায় আধুনিক ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরাপদ ভবন করা প্রয়োজন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস